টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়ায় দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে।
রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কাপ্তাই উপকেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে।
একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকের পানির স্তর ক্রমে নিচে নেমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পানিনির্ভর কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট দিয়ে কোনোমতে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালু রাখা হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ, লুসাইকন্যা কর্ণফুলী নদী আর সীতা পাহাড়-রাম পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘিরে আছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা। এখানে রয়েছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। এবার ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে সেখানে পর্যটকদের বরণ করতে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, কাপ্তাইয়ে হাজারো পর্যটকের
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানি-সংকটের কারণে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে (কপাবিকে) বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে শুধু ৪ নম্বর ইউনিট থেকে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাপ্তাই স’ মিল...
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ করা হলো। হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় আজ সোমবার সকাল ৮টায় জলকপাটগুলো বন্ধ করা হয়। এ সময় কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ছিল ১০৮ দশমিক ৩৯ ফুট মিন সি লেভেল। লেকের পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মিন সি লেভেল। সকাল ১০টায় কেন্দ্র
টানা ১৫ দিন পানি ছাড়ার পর অবশেষে আজ সোমবার সকাল ১০টায় বন্ধ করা হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট। এর আগে অতি বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বিপৎসীমা
নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে আবার মাছ আহরণে নামেন জেলেরা। তবে পাহাড়ের একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যদের চাঁদা দিতে না পারায় জেলেদের মাছ শিকার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক জেলেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও মাছ ধরেননি। প্রথম দিনে মাছ আহরণও হয়েছে তাই কম।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ১৬টি জলকপাট ১৮ ইঞ্চি খুলে সেকেন্ডে ২৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এমন তথ্য জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের।
ভারতের মিজোরাম ও খাগড়াছড়ির বন্যার পানি নেমে আসায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। পানিতে হ্রদের তীরবর্তী ১০ হাজারের অধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।
খাগড়াছড়ি ও ভারতের বন্যার পানি নেমে আসায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েছে। এতে হ্রদের তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে এসব জায়গার বাসিন্দারা।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এর আগে গতকাল রোববার রাতে ৪ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছিল। সোমবার সকাল ১০টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮.৮৪ ফুট মিনস সি লেভেল।
কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার পর নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেলে প্ল্যান্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে প্রকল্প নিরাপদ রাখতে গেটগুলোতে তিন ফুট উঁচু পর্যন্ত বালুর বস্তা রাখা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে।
পানি ছাড়ার ছয় ঘণ্টা পর রাঙামাটির কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট বন্ধ করেছে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কাপ্তাই লেকে পানি ১০৮ ফুট মিন সি লেভেল বা বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আজ রোববার জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট খুলে দিয়ে পানি ছাড়া হয়েছে।
কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বেশি থাকার কারণে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার অংশ থেকে কোনো ফেরি ছাড়েনি। ফলে এই পথ দিয়ে রাঙামাটি-বান্দরবান ও রাঙামাটি-রাজস্থলী সড়কে যান
রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (কপাবিকে) স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই পানির বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাঁধে পানির চাপ কমাতে স্লুইসগেটের ১৬টি দরজা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার রাত ১০টায় বাঁধের ১৬টি দরজা খুলে দেওয়া হবে।